এম পক্স (mpox)**, যা পূর্বে **মাংকিপক্স** নামে পরিচিত ছিল, একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ যা **মাংকিপক্স ভাইরাস** দ্বারা সংঘটিত হয়। এটি প্রধানত পশু থেকে মানুষে ছড়াতে পারে এবং মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। **Orthopoxvirus** গোত্রের এই ভাইরাসটি প্রথম ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে আবিষ্কৃত হয়, তাই একে মাংকিপক্স নামে ডাকা হতো। ২০২২ সালে এর নাম পরিবর্তন করে "এম পক্স" করা হয়।
### লক্ষণসমূহ:
এম পক্সের লক্ষণগুলো সাধারণত সংক্রমণের ৭-১৪ দিনের মধ্যে দেখা যায় এবং তা ২-৪ সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
1. **জ্বর**
2. **মাথাব্যথা**
3. **মাংসপেশির ব্যথা**
4. **ক্লান্তি**
5. **লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া**
6. **ত্বকের ফুসকুড়ি**: ফুসকুড়ি সাধারণত মুখে শুরু হয় এবং পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফুসকুড়ি প্রথমে ফোস্কার মতো হয় এবং পরে পূর্ণতায় গিয়ে ঘা আকারে পরিণত হয়।
### সংক্রমণের উৎস:
এম পক্স সাধারণত সংক্রামিত পশু (যেমন, ইঁদুর বা প্রাইমেট) বা সংক্রামিত মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার ফলে ছড়ায়। ভাইরাসটি ত্বকের ক্ষত, শ্বাসযন্ত্রের ফোঁটা বা শরীরের তরলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
### প্রতিকার:
এম পক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে কিছু প্রতিরোধমূলক ও সহায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে:
1. **টিকা**: মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে প্রথাগত স্মলপক্স টিকাগুলি কিছুটা কার্যকর হতে পারে। এছাড়া নতুন কিছু টিকা উদ্ভাবিত হয়েছে যা এম পক্স প্রতিরোধে কার্যকর।
2. **প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা**: সংক্রামিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, এবং যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া।
3. **চিকিৎসা ও পরিচর্যা**: লক্ষণগুলো হালকা থাকলে সাধারণত ঘরে থেকে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। মারাত্মক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
এটি একটি স্বল্পমেয়াদী রোগ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে, তবে রোগটি ছড়িয়ে পড়া রোধে সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
0 মন্তব্যসমূহ